ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন করবো? কিভাবে করবো..!
বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপক ব্যবহার হলেও আমাদের দেশে এখনও চাহিদা কম। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন ভোক্তা তৈরি করা এবং প্রতিযোগীদের সঙ্গে সহজেই প্রতিযোগিতা করা যায় এমনকি জেনারেল মারকেটিংয়ের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করা সম্ভব।
সম্প্রতি ডিজিটাল মার্কেটিং খাতের অবস্থান কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন এ খাতের গবেষকরা।
বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির সময়। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, পড়াশোনা সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির সঙ্গে। সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। আর এ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আমরা যে কোনো কাজ খুব সহজেই করতে পারছি।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
> সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO মূলত গুগল, ইয়াহু বিং বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন অনুসন্ধান ফলাফলগুলো পর্যালোচনা করে থাকে। আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
> সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং : আমরা অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, যেমন- Facebook, Twitter, Instagram.
এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমরা একজন অন্যজনের সঙ্গে বা একজন অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার্থে এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে থাকি।
> অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এমন একটি পদ্ধতি বা সিস্টেম যেখানে আমাদের নিজেদের কোনো প্রোডাক্ট নেই, আপনি সেখানে অন্য কোনো ব্যক্তি বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে নিজের ওয়েবসাইট বা পেজ এনে প্রমোট করবেন এবং কেউ যদি আপনার প্রমোট করা লিংক বা ব্যানার থেকে ক্লিক করে ওই প্রোডাক্টটি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে রাতারাতি অনেক আয় করা সম্ভব নয়। ধৈর্যসহকারে কাজ করে যেতে পারলে সফলতা আসবে।
> কন্টেন্ট মার্কেটিং : কন্টেন্ট বলতে আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ই-বুক ইত্যাদিকে বুঝে থাকি। আমরা যখন অনলাইনে কোনো Content নিয়ে মার্কেটিং করি তখন তাকে Content মার্কেটিং বলে।